বান্দরবানে ১৩ অক্টোবর সোমবারের হরতা‌ল প্রত্যাহার

বান্দরবানে ১৩ অক্টোবর সোমবারের হরতা‌ল প্রত্যাহার

মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার: দাবি পূরণের আশ্বাসে পার্বত‌্য চট্টগ্রাম নাগ‌রিক প‌রিষ‌দ ডাকা বান্দরবানে সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতা‌ল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় প্রশাসনের অনুরোধে নাগরিক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।

তিনি জানান, ১২অক্টোবর রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগ‌রিক প‌রিষ‌দের নেতাদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পরিষদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।

এতে পার্বত‌্য চট্টগ্রাম নাগ‌রিক প‌রিষ‌দ সোমবারে ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত বৃহস্প‌তিবার (৯অ‌ক্টোবর) সকা‌লে গ্র্যান্ড ভ‌্যালি মিলনায়ত‌নে সংবাদ সম্মেলনে পার্বত‌্য চট্টগ্রাম নাগ‌রিক প‌রিষ‌দের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী ক‌মি‌টির চেয়ারম‌্যান কাজী মো. ম‌জিবর রহমান ৮ দফা দাবি আদায়ে ১৩ অক্টোবর সোমবার বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন। ঘোষণা পর থেকে নাগরিক পরিষদ জেলায় হরতালের সমথর্নে পথসভা, মিছিল-মিটিং ও মাইকিংয়ের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়।

এদিকে রবিবার বিকাল ৪টায় হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণায় শহরে ৩নম্বর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়ে মাইকিং চলছিল।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৮ দফা দাবিগু‌লোর মধ্যে ছিল—১. ব্রিটিশ রচিত প্রহসনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসন ব্যবস্থা চালু করা। ২. জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকুরি, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল করা। ৩. দেশের ৬১ জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা। ৪. বাজার ফান্ড প্লটের লিজের মেয়াদ-৯৯ বছরে উন্নীত করা ও বন্ধ রাখা ব্যাংক ঋণ পুনরায় চালু করা।

৫. উন্নয়নের স্বার্থে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পরিবেশ বান্ধব ইটের ভাটাসহ কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি চালু করা। ৬. আইন-শৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যাহারকৃত ২৪৬টি সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা। ৭. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে তিন পার্বত্য জেলায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা ও ৮. শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার প্রদান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *